শেখ বিল্লাল হোসেন

যে জন্ম সৃষ্টির সাক্ষী তার মহাকাল।

বালিকা প্রেম চাইলে দিব হাত ধরে দিগন্তে হারাব। সুখ চাইলে পাবে কার্পণ্য করব না তাতে। শুধু মনে রেখ ভালোবাসা খুব সহজ না।

তোমার বুকে সোনার হরিণ বড্ড চঞ্চল। সামলে থেক বালিকা এ বড় ভয়ঙ্কর জঙ্গল।

স্মৃতির সাগরে ডুবুরি অামি যায় অতল গহিনে। খুঁজে পাইনা কোথাও অামি একটু খানি সুখ রে......

চেয়েছিলে দুরত্ব শূন্যে জমেছে কুয়াশা। এখন অাবার এক হওয়া সে তো খুব সহজ না।

চেয়েছিলাম যা,তার চেয়ে বেশিতে পূর্ণ খাতা। তবু মনে কেন জ্বলে এত না পাওয়ার শিখা?

এমন রুপে না সাজে বিশ্বের কোন ভূমি। শিমুল পলাশে রক্তবর্ণ যেমন বঙ্গ বৃক্ষ ভূমি।

প্রিয়তমা তুমি বিশ্বাসে থাকো, প্রেম থাক বাস্তবে। বসন্ত এমন ঘুরে ফিরে অাসুক ফুল পাখি অার সুর সাথে।

কি চাই তোমার কাছে? কি অামার অাশা? কিছুই তো জানা নেই! তবু অকারণ ভালোবাসা।

ভিতরে অামার দাবানল জ্বলে বাহিরে ফোটে ফুল। ছুঁয়ো না, ছুঁয়ো না, ছুঁয়ো না,  অামায় ফেঁসে যাবে নির্ভুল।

জীর্ণ শীর্ণ মেঘের খেয়া বৃষ্টি আসে না। চৈত্র খরায় শুষ্ক হৃদয় প্রেম তো জাগে না।

একলা কাক থাক বসে থাক যাচ্ছি কিছু দূরে। ঘুরে ফিরে, ফিরব অাবার ঠিক তোরই নিড়ে।

এখানে সুখ অাসে দমকা হাওয়ায় যায় অাবার চলে। এখানে জীবন মৃত্যু খেলা করে দদুল্যমান রসির দুই ধারে।

বল গো চাঁদ, কথা বল বল গো রাত, কথা বল সরবতায়  শূন্য হৃদয় তুমি অাজ পূর্ণ কর।

মানুষ ব্যতীত পৃথিবীর কোন জীবই মানুষের জন্য ক্ষতিকর না।

খামের মাঝের সাহিত্য অাটকা পড়েছে জালে। পত্র লেনদেন অার হবেনা বন্ধু তোমার সনে।

ভালোবেসে যদি বুকে টেনে নাও নুয়াইতে রাজি মাথা। পূজারী হয়ে তবু চুম্বিবনা পা যদি বা হও- শ্রেষ্ঠ দেবতা।

মানুষের চেয়ে গরু বড় শেখায় যে ধর্ম। সে ধর্মের মুখে প্রস্রাব করা মানুষের কর্ম।

সুদীর্ঘকাল দেখেছি অভিনয় কাটায় সাজিয়ে বুকে মঞ্চ। সেখান থেকে কিছুটা করেছি রপ্ত হয়েছি অভিনেতা পাকাপোক্ত।

ভিক্ষুক অাজ প্রেমের সবে! ঘৃণা না চাই কেও! সুখের সবে ডাকু বনেছে কাঙ্গাল তাই দুর্ভিক্ষে পড়েছে।

পেয়ালা পেয়ালা প্রেম ঢেলে চুমুকে চুমুকে শেষ। হলাম অামি প্রেমের কাঙ্গাল দুর্ভিক্ষে ভুগছে দেশ।

অামি টিকটিকি না। সবকিছু তে ঠিক, সম্মতি দিতে পারি না!

তোমার ডাকে যদি ভাঙ্গে মোর ঘুম। কুড়িয়ে দিব তবে এক গাদা বকুল।

ঈশ্বরের ঘর মানবের সৃষ্টি মানবের শ্রষ্ঠা ঈশ্বর। ঈশ্বরের ঘরের পুজারি সর্বজন তার সৃষ্টি মরে হেলায় সর্বক্ষণ!

হাজার বছর দেখা হয়না এমন কেন লাগে! এই তো তোমায় দেখে এলাম কাল সাঝেঁর কালে।

শত অায়োজনে ভুলেছি কুল। ভুলেছি তোমায় হিজলের ফুল। যে ফুলে অামি গাঁথিতাম মালা বাসর সাজাইতাম সাঝের বেলা।

শবদেহের সাথে অালীঙ্গন করে বুঝেছি.... এখন অামি জীবিত।।

হে পৃথিবী.... প্রতারণায় অার তুষ্ট করনা অামায়। ভালবেসে বিষ দাও তাতেও তৃপ্ত হৃদয়।

মৃত্যুর পরে দেখা হবে যদি ভাব মনে! তাও যে সম্ভব না, পর মানুষের সনে।

বাতাসে ভাসছে হিংসার জঞ্জাল। সব হটিয়ে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া ভাসিয়ে দিবে- তোমার অামার প্রেমের মহা বান।

কবরে যদি ফুল দাও নিব মুখ ফিরিয়ে। একটা চুমু অামার অায়ু দিবে কিছুটা বাড়িয়ে।

খবরের পর খবর অাসে তবু খবর দাওনা তুমি। কবে এ দেশে, হবে না অার খুন ধর্ষণ রাহাজানি।

কেও তো অামার নয় তবু মিথ্যা কেন স্বপ্ন দেখি! প্রেয়সী ভেবে কেন চাঁদকে কাছে ডাকি?

চাইলে তুমি হৃদয় তোমায় দিব হাসি মুখে। সে হৃদয় নিয়ে খেললে তবে কেমনে সহে বুকে!

দূরত্ব বাড়িয়ে চলে যাও দৃষ্টির অাড়ালে। মন তবু পিছু ছোটে সীমানা ছাড়িয়ে।

মন খারাপের রাজ্যে অামি সৈন্য ছাড়া রাজা। একলা লাগে ভারি অামার শশী তোমায় ছাড়া।

প্রত্যাশা পুড়ুক খরায় চাই না সুখ ধরায়। চোরা প্রেমে অামি নিঃস্ব অভিশাপ তোমায় বিশ্ব।।

তুই অামার অর্ধেক শশী ঝিলের জলে শাপলা সাথী। মৃত্যু কালে বিষম বেদনায় একটু খানি সুখের হাসি।

বর্বর কোন জাতী বা ধর্ম হয় না। বর্বর হয় নির্দিষ্ট মানুষ। দু একজনের বর্বরতায় মিথ্যা দোষারোপ করা হয় সম্পূর্ণ গোষ্ঠী কে।

তুমি অামার নদী হবে? তোমার জলে কাটব সাঁতার ভাসাব কিছু ক্ষণ। তোমার মাঝে ডুবে হবে অাত্মা নিবারণ।

তোমার তিন কবুলের ভুল পর করে দিল। পর হয়ে গেলাম অামি চিরদিন।

উদ্বাস্তু মন অামার হারিয়েছে ঠিকানা। জানি ফেরা হবে না। পোষা স্মৃতি তবু তোমায় ভুলতে দিবে না।

উদ্বাস্তু মনের কেন ঠিকানা জানতে চাও? মন পেতে দিয়ে, তুমি অাশ্রয় হয়ে যাও।

মৃত্যুর মাঝে জীবন খুঁজি জীবনের মাঝে সত্য। তোমার মাঝে প্রেম খুঁজে প্রতারণার অনলে দগ্ধ।

তুমি সৃষ্টিতে বেঁচে থেক স্রষ্টা অমরত্ব দিবে না। পৃথিবীর জঞ্জালে মৃত্যু সহজ বেঁচে থাকা সে তো খুব যন্ত্রণা।

ডুবে যাচ্ছি,ডুব সাতারে হারিয়ে যাচ্ছি গভীরে। পাবে না অার খুঁজে তুমি যদি চাও অামারে।

টুকরো স্মৃতি ধরে রাখা সে যে কি যন্ত্রণা। বুঝবে না তুমি সে ব্যথা হারানো কি বেদনা।

অমরত্ব ডেকেছিল অামি মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলাম। তুমি ডাকবে সে প্রতিক্ষায় প্রহর গুনেছিলাম।

সময় তুমি চলে যাও অামি থাকব বসে। সুখ টুকু নিযে যাও দুঃখ রাখব পুষে।

দিয়েছিলে বিষ ভেবেছিলাম বিশ্বাস।

সেদিন নদীতে ভেষে এসেছিল লাশ তার চোখে ছিল স্বাধীনতার সাধ। স্বপ্নে দেখল ওরা লাল সবুজ পতাকা মৃত্যু বরিল তাই ছেড়ে জীবনের অাশা।

চাঁদনী রাতের চাঁন্দের কসম তারে অার বাসিনা ভালো। বহু কষ্টে কাল অন্তরে জ্বালছি অাশার অালো।

তোর প্রেমে যদিবা অমরত্ব না পাই তোকে ভালোবেসে অামি মরতে চাই।

কখন যে ভুলেছি অতীত কখন যে বেসেছি ভাল। কি বিচিত্র! তোমাকে ঘিরে বাঁচে পুরাতন স্বপ্ন গুলো।

যদি প্রেম দাও বিষ দিও তার সাথে। যদি ভুলে যাও পান করে নিব এক নিঃশ্বাসে।

যতবার বল ভালবাসি না, ততবার কর পাপ। মিথ্যার পাপে,নিজেকে দিচ্ছ নিজেই অভিশাপ।

একগুচ্ছ কলমি ফুল হাতে। দমকা বাতাসে ছিড়ে যাবে তাই অাচলে লুকায়েছ তাকে। বিধিবাম তাই বুঝি হাওয়ার বদলে বর্ষা অশ্রু ও তোমার মুছে দিল শ্রাবণের বর্ষা।

ঘুমিয়ে থাক চাঁদ তুমি পাহারায় অাছি অামি। তোমার জন্য বিষাদ সাগর পাড়ি দিতে জানি।

মন বিনিময় হয় মনের দামে কোথাও অাছে কি এমন দেশ? খুঁজে পেলে এমন দেশের সন্ধান অামি থাকতাম না অার বাংলাদেশ।

অনুর্বর চাঁদের লাগি তোমার এত মায়া জীবন্ত মানুষ কান্দে করনা তো দয়া। অক্সিজেনহীন নক্ষত্রে গড়তে চাও বাসা বুক পেতে দিলে কর তামাসা।

কাক তোমার 'কা কা' ধ্বনি সেও খারাপ না। মধুর সুরে মানুষের মত বিষ তো ঢাল না।

বাষ্প পুড়ে বাতাস হোক যাক দূরে উড়ে। শূন্যস্থান পূর্ণ হোক প্রেমের মায়াজালে।

দেয়ালে অামার পিঠ ঠেকিয়ে               জীবন বলে বাছা... এই জীবনে যুদ্ধ ছাড়া      তোর হবেনা বাঁচা।

উত্তর থেকে দক্ষিণ মেরুর দূরত্ব বেশি নয় যদি তোমার অামার দূরত্ব বিবেচনায় রয়।

নাবিশ্বাস ওঠা জীবনে যখন           একটু প্রেমের অাশা। ছুটে গিয়ে দেখি প্রেয়সী তুমি             বাঁধছ অন্যের বাসা।

দুরত্ব যাবে একদিন এত বেড়ে একে অপরের মৃত্যু সংবাদ পাব,          বেশ কিছুদিন পরে।

শতবর্ষে মাত্র ১২০০ বাস তুমি ছাড়া বেঁচে থাকা একটি প্রহর সহস্রাব্দের অভিশাপ।

প্রেমের বিষে হৃদয় জ্বলে ধুয়া ওড়ে নিশ্বাসে। এ জীবনে বেঁচে থাকা মিছামিছি বিশ্বাসে।

এসেছ যখন চিহ্ন রেখে যেও গভীর ক্ষত অথবা টলমলে দিঘি।

বিপদগ্রস্ত মানুষের দিকে যখন কেও হাত বাড়ায়। সে তখন তার মাঝে ঈশ্বরের  ছাঁয়া দেখে।

পৃথিবীর বুকে যত প্রেম গড়েছে স্বর্গ নিবাস। তার থেকে অধিক প্রেম করেছে সর্বনাশ।

অভিশাপ দিওনা প্রিয়তমা.. অভিশপ্ত অামায়। পার্থিব দূরত্ব অাছে যতটা অাত্মিক ততটা নয়।

মানবিক দূরত্ব পরিমাপে গানিতিক সূত্র অকেজো।

অাকাশে পূর্ণ চাঁদ কুয়াশার দেয়াল মাঝে শত্রুতা করেছে পৃথিবী               চাঁদের সাথে।

পাখি তুমি ঢ়ের অাছ মানুষের চেয়ে ভাল। তোমাকে তো শুনতে হয়না অ-পাখি কখনও।

তোমার শরীর অামার বড্ড চেনা শহর। মনটা যেন জংলী গোলক ধাঁধা।

রোগে শোকে দুর্ঘটনায় অস্ত্র বা বুলেটের অাঘাতে, যেখানে যেমন ইচ্ছা মরো। কিন্তু বাঁচতে চেও না... বাচলে জবাব দিতে হবে! মৃত্যুতে কোন প্রশ্ন নেই।